জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৬৭ জন শিক্ষককে এক সঙ্গে রিলিজ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে এ ধরণের রিলিজ অর্ডার দেওয়ার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই বলে দাবি করেছেন রিলিজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
অন্যদিকে এক সঙ্গে এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে রিলিজ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রিয় শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র জানায়, ২৪ জুলাই প্রেষণের শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত লিভ টু আপিল সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় জবি আইন ২০০৫- এর ৫৬ (২) (ছ) ধারা মোতাবেক তাদের জবিতে কর্মরত থাকার সুযোগ নেই। এ প্রেক্ষিতে তাদের ১৬৭ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিলিজ (অবমুক্ত) দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কাছে তাদের কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তারা তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।
তবে প্রায় ছয়মাস ধরে এই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ থাকলেও আদেশে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ রিলিজ অর্ডার দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেছেন প্রেষণের শিক্ষকরা। প্রেষণের শিক্ষক কামাল উদ্দিন আহমেদ জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের রিলিজ (অবমুক্তির) আদেশ দিতে পারে না। এটি কর্তৃপক্ষের অতি উৎসাহমূলক কাজ।’
অর্ডারে বলা হয়েছে, ২৫ তারিখ র্পূবাহ্নের পর (দুপুর ১২ টার পর) থেকে রিলিজ অর্ডার কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু ২৫ তারিখ বিকেল ৫টায় আদেশ সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়। যা বিধি অনুযায়ী হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের রিলিজ অর্ডারের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সং্িশ্লষ্টরা।
দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল মোমেন জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘আমার বিভাগে ১৩ জন শিক্ষক এক সঙ্গে চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে ওই শিক্ষকদের চলমান কোর্সগুলো নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়তে হবে।’
অর্থনীতি বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক ড. আজম খান জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘অর্থনীতি বিভাগে ১৬ জন প্রেষণের শিক্ষক ছিল। তাদের পড়ানো কোর্সগুলোতে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।’
তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের বিদায়ী সম্মাননার দাবি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জেএনইউ নিউজকে বলেন, তারা আমাদের সহকর্মী। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু থেকেই তারা অনেক শ্রম দিয়েছেন। আশা করি কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য একটি সম্মানজনক বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীরাও সেশন জট বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ছাত্র হারুন অর রশিদ জেএনইউ নিউজকে বলেন, সাড়ে পাঁচ বছরে মাত্র ২৭৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষকরা চলে গেলে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
ইতিহাস বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সজিব আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কতো খাতে অহেতুক ব্যয় হয়। শিক্ষকদের জন্য বিদায়ী সম্মাননার ব্যবস্থা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কি এমন ক্ষতি হতো?
বাংলাবিভাগের ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নাজমুল ইসলাম জেএনইউ নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে প্রেষণের শিক্ষকরাই আমাদের বেশিরভাগ ক্লাস নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের আন্তরিকতা বেশি। অন্তত ১৬৭ জনের এক সঙ্গে বিদায়ী সংবর্ধনার ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারতো।
প্রেষণের শিক্ষকদের রিলিজ অর্ডারে এখতিয়ার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ জেএনইউ নিউজকে বলেন, প্রেষণের শিক্ষকদের রিলিজ অর্ডার দেওয়ার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে। এটি বিধিসম্মতভাবেই দেওয়া হয়েছে। তাদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সরকার দেখবে।’
একই সঙ্গে প্রেষণের শিক্ষকরা চলে গেলেও একাডেমিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।’
শিক্ষকদের বিদায়ী সম্মাননা জানানো সম্ভব ছিল কিনা এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘তাদের সুন্দরভাবে বিদায় দেয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল। কিন্তু তারা নানা জটিলতা সৃষ্টি করায় তা সম্ভব হয়নি।’
প্রেষণের মোট শিক্ষক ছিলেন ১৬৮ জন। এদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছেন।
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক জাহানারা বেগম অনেক আগেই স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছেন। তাই তার বিয়য়টি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। তবে খুব শিগগিরই তার বিষয়টি সুরাহা হবে।’
তবে এ ধরণের রিলিজ অর্ডার দেওয়ার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই বলে দাবি করেছেন রিলিজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
অন্যদিকে এক সঙ্গে এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে রিলিজ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রিয় শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র জানায়, ২৪ জুলাই প্রেষণের শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত লিভ টু আপিল সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় জবি আইন ২০০৫- এর ৫৬ (২) (ছ) ধারা মোতাবেক তাদের জবিতে কর্মরত থাকার সুযোগ নেই। এ প্রেক্ষিতে তাদের ১৬৭ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিলিজ (অবমুক্ত) দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কাছে তাদের কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তারা তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।
তবে প্রায় ছয়মাস ধরে এই শিক্ষকদের বেতন বন্ধ থাকলেও আদেশে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ রিলিজ অর্ডার দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেছেন প্রেষণের শিক্ষকরা। প্রেষণের শিক্ষক কামাল উদ্দিন আহমেদ জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের রিলিজ (অবমুক্তির) আদেশ দিতে পারে না। এটি কর্তৃপক্ষের অতি উৎসাহমূলক কাজ।’
অর্ডারে বলা হয়েছে, ২৫ তারিখ র্পূবাহ্নের পর (দুপুর ১২ টার পর) থেকে রিলিজ অর্ডার কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু ২৫ তারিখ বিকেল ৫টায় আদেশ সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়। যা বিধি অনুযায়ী হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের রিলিজ অর্ডারের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সং্িশ্লষ্টরা।
দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল মোমেন জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘আমার বিভাগে ১৩ জন শিক্ষক এক সঙ্গে চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে ওই শিক্ষকদের চলমান কোর্সগুলো নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়তে হবে।’
অর্থনীতি বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক ড. আজম খান জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘অর্থনীতি বিভাগে ১৬ জন প্রেষণের শিক্ষক ছিল। তাদের পড়ানো কোর্সগুলোতে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।’
তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের বিদায়ী সম্মাননার দাবি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জেএনইউ নিউজকে বলেন, তারা আমাদের সহকর্মী। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু থেকেই তারা অনেক শ্রম দিয়েছেন। আশা করি কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য একটি সম্মানজনক বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীরাও সেশন জট বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ছাত্র হারুন অর রশিদ জেএনইউ নিউজকে বলেন, সাড়ে পাঁচ বছরে মাত্র ২৭৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষকরা চলে গেলে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
ইতিহাস বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সজিব আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কতো খাতে অহেতুক ব্যয় হয়। শিক্ষকদের জন্য বিদায়ী সম্মাননার ব্যবস্থা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কি এমন ক্ষতি হতো?
বাংলাবিভাগের ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নাজমুল ইসলাম জেএনইউ নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে প্রেষণের শিক্ষকরাই আমাদের বেশিরভাগ ক্লাস নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের আন্তরিকতা বেশি। অন্তত ১৬৭ জনের এক সঙ্গে বিদায়ী সংবর্ধনার ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারতো।
প্রেষণের শিক্ষকদের রিলিজ অর্ডারে এখতিয়ার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ জেএনইউ নিউজকে বলেন, প্রেষণের শিক্ষকদের রিলিজ অর্ডার দেওয়ার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে। এটি বিধিসম্মতভাবেই দেওয়া হয়েছে। তাদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সরকার দেখবে।’
একই সঙ্গে প্রেষণের শিক্ষকরা চলে গেলেও একাডেমিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।’
শিক্ষকদের বিদায়ী সম্মাননা জানানো সম্ভব ছিল কিনা এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘তাদের সুন্দরভাবে বিদায় দেয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল। কিন্তু তারা নানা জটিলতা সৃষ্টি করায় তা সম্ভব হয়নি।’
প্রেষণের মোট শিক্ষক ছিলেন ১৬৮ জন। এদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছেন।
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান জেএনইউ নিউজকে বলেন, ‘ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক জাহানারা বেগম অনেক আগেই স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেছেন। তাই তার বিয়য়টি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। তবে খুব শিগগিরই তার বিষয়টি সুরাহা হবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন